উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (HSC Biology 2nd Paper)


পঞ্চম অধ্যায় : মানব শারীরতত্ত্ব : শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া
(Chapter 5. Human Physiology: Breathing and Respiration)


প্রধান শব্দভিত্তিক সারসংক্ষেপ


♦ শ্বসনতন্ত্র : দেহের যে অঙ্গগুলো শ্বসন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, তাদের সমষ্টিকে শ্বসনতন্ত্র বলে।

♦ সাইনুসাইটিস: নাকের চারপাশের অস্থিসমূহে বায়ুপূর্ণ কুঠুরী থাকে। এ কুঠুরীগুলোকে বলা হয় সাইনাস। আর এ সাইনাসের প্রদাহকে বলা হয় সাইনুসাইটিস।

♦ হিমোগ্লোবিন: হিমোগ্লোবিন লাল বর্ণের লৌহঘটিত শ্বাসরঞ্জক (Respiratory Pigment)। হিমোগ্লোবিনের সাথে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড বিক্রিয়া করে যথাক্রমে অক্সি-হিমোগ্লোবিন এবং কার্বামাইনো হিমোগ্লোবিন নামে দু ধরনের অস্থায়ী যৌগ গঠন করে।

♦ ওটিটিস মিডিয়া: ইউস্টেসিয়ান নালির মাধ্যমে আমাদের মধ্যকর্ণ সংক্রমিত হতে পারে। এ সংক্রমণকে ওটিটিস মিডিয়া বলে।

♦ অ্যালভিওলাস: ফুসফুসের শেষপ্রান্তে ছোট বেলুনের মতো বায়ুথলিকে অ্যালভিওলাস বলে।

♦ সারফ্যাকট্যান্ট: সারফ্যাকট্যান্ট একটি রাসায়নিক পদার্থ যা ফুসফুসের টিস্যুকে লেগে থাকার হাত থেকে রক্ষা করে।

♦ ডায়াফ্রাম: বক্ষ ও উদরের মাঝখানে অবস্থিত একটি পর্দাকে ডায়াফ্রাম বলে। এটি শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাস ত্যাগে সাহায্য করে।

♦ সাইনাস: নাকের চারপাশের অস্থিসমূহে বায়ুপূর্ণ কুঠুরী থাকে। এ কুঠুরীগুলোকে বলা হয় সাইনাস।

♦ এপিগ্লোটিস: স্বরযন্ত্রের উপরিভাগে অবস্থিত জিহ্বাকৃতির ঢাকনাকে উপজিহ্ববা বলে। উপজিহ্বাকে এপিগ্লোটিসও (Epiglottis) বলা হয়। এটা তরুণাস্থি দ্বারা গঠিত।

♦ শ্বাসরঞ্জক: হিমোগ্লোবিনকে শ্বাসরঞ্জক (Respiratory Pigment) বলে। এটি রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহণ করে।

♦ প্লুরা : প্লুরা হল ফুসফুসের আবরণ। যা থলের ন্যায়। এবং ইহা পালমোনারি লিগামেন্ট এবং হাইলাম ব্যতীত সম্পুর্ণ ফুসফুস কে আবরণ করে।

♦ প্লুরা গহ্বর : মানবদেহে প্লুরা গহ্বর বলতে দুটি প্লুরার (প্যারাইটাল ও ভিসেরাল) মধ্যবর্তী স্থানকে বুঝানো হয়।প্লুরা দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সেরাস পর্দা যা ফুসফুস কে আবৃত করে রাখে।

♦ সেরাস ফ্লুইড : প্লুরা গহ্বরে স্বল্প পরিমাণে ফ্লুইড থাকে। এই ফ্লুইডকে সেরাস ফ্লুইড বলা হয়।

♦ ফুসফুসের লোব ও লোবিউল: ডান দিকের ফুসফুস তিনটি লোব (lobe) বা খণ্ডে বিভক্ত। কিন্তু বাম ফুসফুসে দুটি। আবার লোবিউল (lobules) নামক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত। ডান ফুসফুসে ১০টি এবং বাম ফুসফুসে ৮টি লোবিউল থাকে।





সূত্র: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান

গাজী সালাহউদ্দিন সিদ্দিকী