উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (HSC Biology 2nd Paper)


প্রথম অধ্যায় : প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস



প্রধান শব্দভিত্তিক সারসংক্ষেপ


♦ প্রাণিবৈচিত্র্য : প্রাণীদের মধ্যে বিদ্যমান জিনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্যকে প্রাণিবৈচিত্র্য বলে।

♦ অস্টিয়া: পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের দেহ প্রাচীর অস্টিয়া নামক অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।

♦ সিলোম: ভ্রূণের মেসোডার্ম থেকে সৃষ্ট পেরিটোনিয়াম এবং ভিসেরাল পর্দা দ্বারা আবৃত দেহগহ্বকে সিলোম বা প্রকৃত সিলোম বলে।

♦ ভ্রূণীয় স্তর : ভ্রূণের গ্যাস্ট্রুলা দশায় যে স্তরগুলো থাকে তাকে ভ্রূণীয় স্তর বলে।

♦ ট্যাক্সন : শ্রেণিবিন্যাসের প্রতিটি একককে বলা হয় ট্যাক্সন।

♦ প্রজাতি: সর্বাধিক মিলসম্পন্ন একদল জীব, যারা নিজেদের মধ্যে প্রজননের মাধ্যমে উর্বর সন্তান উৎপাদন করতে সক্ষম।

♦ লিনিয়ান হায়ারার্কি : ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রবর্তিত সাত স্তর বিশিষ্ট অনুক্রমিক শ্রেণিবিন্যাস স্তর কাঠামোকে Linnean hierarchy বা Taxonomic hierarchy বলে ।

♦ জীবের ভিন্নতা : জীবের মধ্যে বিরাজিত সকল ধরণের ভিন্নতাকেই জীবের ভিন্নতা বলে।

♦ শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি : যে সকল বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে সাধারণত শ্রেণিবিন্যাস করা হয়, তাদেরকে শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি বলে।

♦ ননকর্ডেট প্রাণী : যে সমস্ত জীবের দেহে কখনোই নটোকর্ড থাকে না তাদেরকে ননকর্ডেট প্রাণী বলে।

♦ কর্ডেট প্রাণী : সারা জীবন বা জীবনের যে কোনো দশায় নটোকর্ড থাকলে তাদেরকে কর্ডেট প্রাণী বলে।

♦ ভার্টিব্রেট : যে সমস্ত কর্ডেট প্রাণীদের নটোকর্ড মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় তাদেরকে ভার্টিব্রেট বা মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে।

♦ ICZN : International Commission on Zoological Nomenclature. এটি প্রাণী নামকরণের একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থা ।

♦ প্রতিসাম্যতা : কোন একটি জীবকে অক্ষ বরাবর সমানভাবে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে প্রতিসাম্যতা বলে।

♦ পংগপাল : Acrididae পরিবারের অর্ন্তগত এক ধরণের ফড়িং জাতীয় পতঙ্গ। পঙ্গপাল ও ঘাসফড়িং এর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। এরা দলবদ্ধভাবে ফসলের ক্ষতি করে থাকে।

সূত্র: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান

গাজী সালাহউদ্দিন সিদ্দিকী