১। শীতকালে কাঠের দরজা ফাঁকা হয় পড়ে কেন?
২। অভিস্রবণ ও ব্যাপনের মধ্যে দুটো পার্থক্য লেখ।
৩। প্রস্বেদন পরিবেশের উপর কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করে?
৪। উদ্ভিদের পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়?
৫। কী কী শর্তে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া ঘটে?
৬। প্রস্বেদন দিনের বেলায় হয় কেন?
৭। উদ্ভিদের মূল কেটে ফেললে গাছ মরে যায় কেন?
৮। অভিস্রবণকে এক প্রকার ব্যাপন বলা হয় কেন?
৯। পানি ও খনিজ লবণ পরিশোষণের মূল পার্থক্য কী?
১০। উদ্ভিদের পানি শোষণ প্রক্রিয়া বলতে কি বুঝ?
১১। কোষ পর্দা একটি অর্ধভেদ্য পর্দা কেন?
১২। প্রস্বেদন কয় প্রকার ও কী কী?
১৩। উদ্ভিদের সংবহন বা পরিবহন বলতে কি বুঝায় ?
১৪। রস উত্তোলন কাকে বলে?
(গ) প্রয়োগ ও (ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন :
১। নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: [পাঠ্য পুস্তক]
জারিফের আম্মা একদিন সেমাই রানড়বা করার জন্য কিসমিস ভিজিয়ে রাখলেন। কিছুক্ষণ পরে জারিফ লক্ষ করল, কিসমিসগুলো ফুলে গেছে। অন্যদিকে জারিফের বোন রংতুলি দিয়ে ছবি আঁকছিল। এ সময় হঠাৎ করে রংতুলিতে থাকা কিছুটা রং গ্লাসের পানির মধ্যে পড়ে পানিতে ছড়িয়ে গেল।
(ক) ভেদ্য পর্দা কাকে বলে? ১
(খ) ইমবাইবিশন বলতে কী বুঝায়? ২
(গ) কোন প্রক্রিয়ায় জারিফের বোনের রংতুলির উপকরণটি পানিতে ছড়িয়ে গেল? ব্যাখ্যা কর।৩
(ঘ) জারিফের লক্ষ করা কিসমিস ফুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? বিশ্লেষণ কর। ৪
২। নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। [পাঠ্য পুস্তক]
স্কুল থেকে বাসায় ফিরে আদিবা লক্ষ করল, টবে থাকা গাছগুলো সব নেতিয়ে পড়েছে। বিকাল বেলা সে গাছগুলোতে পানি দিল। পরদিন সকালে দেখল গাছগুলো সতেজতা ফিরে পেয়েছে।
(ক) ব্যাপন কাকে বলে? ১
(খ) প্রস্বেদনকে কেন Necessary evil বলা হয়? ২
(গ) টবে থাকা গাছগুলো নেতিয়ে পড়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
(ঘ) পরবর্তীতে গাছগুলো কীভাবে সতেজতা ফিরে পেল? বিশ্লেষণ কর। ৪
৩। নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
শফিক তার বন্ধুর সাথে মতিঝিল থেকে গাজীপুর ন্যাশনাল পার্কে বেড়াতে গেল। সেখানে গিয়ে সে অনুভব করল সেখানকার বাতাস মতিঝিল এলাকার তুলনায় কিছুটা শীতল। সে তার বন্ধুকে কারণ জিজ্ঞেস করলে তার বন্ধু বলল উদ্ভিদের বিশেষ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য এ ব্যাপারটি ঘটে।
(ক) উদ্ভিদের কোন টিস্যুর মাধ্যমে পরিবহন ঘটে?
(খ) জীবকোষের শ্বসনের ক্ষেত্রে ব্যাপনের গুরুত্ব লেখ ।
(গ) উক্ত স্থানের পরিবেশ শীতল হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
(ঘ) শফিকের বন্ধুর বলা বিশেষ প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তিটির পক্ষে তোমার মতামত দাও। ৪
৪। নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
টব-১: গাছে নিয়মিত পানি ও সার প্রয়ােগের ফলে সতেজ পাতা ও ফুল আসে।
টব-২: গাছে খনিজ পুষ্টি ও রসের অভাবে গাছটি দুর্বল হয়ে পড়ে।
(ক) উদ্ভিদের পরিবহন প্রধানত কী ধরনের পরিবহন? ১
(খ) উদ্ভিদের পরিবহন বলতে কী বোঝ? ২
(গ) টব-১ এ উল্লেখিত গাছটি উক্ত উপাদানগুলো কোথা থেকে গ্রহণ করে ব্যাখ্যা কর। ৩
(ঘ) টব-২ এর গাছটিতে উল্লেখিত উপাদানগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উক্তিটির পক্ষে তোমার মতামত দাও। ৪
ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১। স্থলজ উদ্ভিদে প্রস্বেদন ঘটে কি দিয়ে?
উত্তর: পাতা দিয়ে।
২। কোষ পর্দা ধরনের কি ধরনেরপর্দা?
উত্তর: কোষ পর্দা এক ধরনের অর্ধভেদ্য পর্দা।
৩। উদ্ভিদের দেহাভ্যন্তর থেকে পাতার মাধ্যমে পানি নির্গমন প্রক্রিয়াকে কি বলে?
উত্তর: প্রস্বেদন বলে।
৪। ব্যাপন অর্থ কি?
উত্তর: ব্যাপন অর্থ হলো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া বা সর্বত্র ব্যাপ্ত হওয়া।
৫। উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে?
উত্তর: অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়।
৬। ভেদ্য পর্দার একটি উদাহরণ?
উত্তর: কোষপ্রাচীর।
৭। পেপারোমিয়া কিসের নাম?
উত্তর: পেপারোমিয়া একটি গাছের নাম।
৮। পানিতে ডুবানো ফুলে যাওয়া কিসমিস মধুতে রাখলে কি ঘটে?
উত্তর: অভিস্রবণ।
৯। বেলি ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে কোন প্রক্রিয়ায়?
উত্তর: ব্যাপন প্রক্রিয়ায়।
১০। কোন পর্দা দিয়ে দ্রব ও দ্রাবক উভয়ই চলাচল করতে পারে?
উত্তর: কোষপ্রাচীর।
১১। শাপলা ফুল ফুটতে কোন প্রক্রিয়া সাহায্য করে?
উত্তর: অভিস্রবণ।
১২। পাতার আর্দ্রতা বজায় রাখে কোনটি?
উত্তর: প্রস্বেদন।
১৩। উদ্ভিদ দেহে শোষিত পানি বাষ্পাকারে প্রস্বেদনের মাধ্যমে দেহ থেকে কোন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়?
উত্তর: ব্যাপন প্রক্রিয়ায়।
১৪। দ্রাব ও দ্রাবকের মিশ্রণের ফলে কি উৎপন্ন হয়?
উত্তর: দ্রবণ।
১৫। প্রস্বেদনের অপর নাম কি?
উত্তর: বাষ্পমোচন।
১৬। চিনির গাঢ় দ্রবণে কিসমিস ডুবিয়ে রাখলে কি হবে?
উত্তর: অন্তঃঅভিস্র্রবণ।
১৭। প্রস্বেদন প্রধানত কোনটির মাধ্যমে হয়?
উত্তর: পত্ররন্ধ্র।
১৮। ডিমের খোসার ভেতরের পর্দার মধ্যদিয়ে কোনটি চলাচল করতে পারে?
উত্তর: দ্রাবক।
১৯। কোন টিস্যুর মাধ্যমে পাতায় উৎপন্ন খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়?
উত্তর: ফ্লোয়েম টিস্যু।
২০। তাপমাত্রা বাড়লে সাধারণত ব্যাপন হার বাড়ে না কমে?
উত্তর: বাড়ে।
২১। উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় মূলরোমের সাহায্যে মাটি হতে পানি শোষণ করে?
উত্তর: অভিস্রবণ।
২২। কোন প্রক্রিয়াটিকে প্রয়োজনীয় উপদ্রব বলা হয়?
উত্তর: প্রস্বেদন।
২৩। নিমজ্জিত উদ্ভিদরা কোন অংশ দিয়ে পানি শোষণ করে?
উত্তর: সারাদেহ।
২৪। উদ্ভিদের মূলরোম দ্বারা শোষিত পানি পাতায় পরিবাহিত হয় কোন টিস্যুর মাধ্যমে
উত্তর: জাইলেম।
২৫। পানি পরিবহন পরীক্ষার জন্য কোন উদ্ভিদ ব্যবহার করা উত্তম?
উত্তর: পেপেরোমিয়া।
২৬। উদ্ভিদের কোন অঙ্গে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত হয়?
উত্তর: পাতা।
২৭। প্রস্বেদন প্রক্রিয়াকে কি নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর: প্রয়োজনীয় শত্রু/Necessary evil.
২৮। উদ্ভিদের মূলরোম দ্বারা শোষিত পানি কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: বিপাক।
২৯। উদ্ভিদ কোন অঙ্গের মাধ্যমে প্রস্বেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে?
উত্তর: পাতা।
৩০। কোন প্রক্রিয়ার প্রভাবে শীতকালে গাছের সবুজ পাতা ঝরে যায়?
উত্তর: প্রস্বেদন।
৩১। জীবকোষের কোষ পর্দা কোন প্রক্রিয়ায় খনিজ লবন শোষণ করে?
উত্তর: অভিস্রবণ।
৩২। পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণকে একত্রে কি বলা হয়?
উত্তর: কোষরস।
৩৩। স্থলজ উদ্ভিদ কি দ্বারা মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবন শোষন করে?
উত্তর: এককোষী মূলরোম দ্বারা।
৩৪। স্থলজ উদ্ভিদের মূলরোম অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কি শোষণ করে?
উত্তর: কৈশিক পানি।
৩৫। কলয়েডধর্মী পদার্থসমূহ মূলত কোন প্রকৃতির?
উত্তর: পানিগ্রাহী।
৩৬।. উদ্ভিদ মাটির রস থেকে খনিজ লবণকে কয়ভাগে শোষণ করে?
উত্তর: ২ ভাগে।
৩৭।. পদার্থের অণুসমূহ সর্বদা কি অবস্থায় থাকে?
উত্তর: গতিশীল।
৩৮। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের সময় কি গ্রহণ করে?
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।
৩৯। জীবকোষে শ্বসনকালে কোনটির জারণ ঘটে?
উত্তর: গ্লুকোজ।
৪০। জীবকোষে শ্বসনকালে অক্সিজেনের প্রবেশ কোন ক্রিয়ার ফলে ঘটে থাকে?
উত্তর: ব্যাপন।
৪১। প্রাণীর অন্ত্রে খাদ্য শোষিত হয় কোন প্রকিয়ায়?
উত্তর: অভিস্রবণ।
৪২। কোষে অক্মিজেন প্রবেশের প্রক্রিয়ার নাম কি?
উত্তর: ব্যাপন।
৪৩। মাছের পটকার পর্দা কোন ধরনের পর্দা?
উত্তর: অর্ধভেদ্য পর্দা।
৪৪। কোন প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দা প্রয়োজন?
উত্তর: অভিস্রবণ।
৪৫। অভেদ্য পর্দা কী?
উত্তর : যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয় প্রকার পদার্থের অণুগুলো চলাচল করতে পারে না তাকে অভেদ্য পর্দা বলে।
৪৬। বৈষম্যভেদ্য বা অর্ধভেদ্য পর্দা কী?
উত্তর : যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে; কিন্তু দ্রাব অণু চলাচল করতে পারে না তাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলে।
৪৭। ভেদ্য পর্দা কী?
উত্তর : যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয়েরই অণু সহজে চলাচল করতে পারে তাকে ভেদ্য পর্দা বলে।
৪৮। ব্যাপন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো দ্রব্যের অণু বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন প্রক্রিয়া বলে।
৪৯। ব্যাপন চাপ কাকে বলে?
উত্তর : ব্যাপনকারী পদার্থের অণু-পরমাণুগুলোর গতিশক্তির প্রভাবে অধিক ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বযুক্ত স্থানে অণুগুলো ছড়িয়ে পড়ায় যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে ব্যাপন চাপ বলে।
৫০। প্রস্বেদন কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদের দেহাভ্যন্তর থেকে পাতার মাধ্যমে বাষ্পাকারে পানি নির্গমনের প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বলে।
৫১। অভিস্রবণ কী?
উত্তর : একই দ্রাবকবিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক থাকলে যে ভৌত প্রক্রিয়ায় দ্রাবক কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্বের দ্রবণের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে অভিস্রবণ বা অসমোসিস বলে।
৫২। প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর : যে জটিল প্রক্রিয়ায় জীব তার প্রতিরূপ বা বংশধর সৃষ্টি করে তাকে প্রজনন বলে।
৫৩। দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর : যদি দুই বা ততোধিক পদার্থের এমন মিশ্রণ যেখানে পদার্থগুলো নিজ নিজ আণবিক ধর্ম বজায় রেখে একসঙ্গে মিশে একটি সমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করে, তাহলে ওই মিশ্রণকে দ্রবণ বলে।
৫৪। দ্রাবক কাকে বলে?
উত্তর : দ্রাব যাতে দ্রবীভূত হয় তাকে দ্রাবক বলে।
৫৫। দ্রাব কাকে বলে?
উত্তর : দ্রাবককে যা দ্রবীভূত করে তাকে দ্রাব বলে।
৫৬। কৈশিক পানি কী?
উত্তর : মাটির সূক্ষ্ম কণার ফাঁকে বাষ্পাকারে লেগে থাকা পানিকে কৈশিক পানি বলে।
৫৭। লেন্টিসেল কী?
উত্তর : কাষ্ঠল উদ্ভিদের বাকলের গায়ে লেন্স আকৃতির অথবা ডিম্বাকার ক্ষত চিহ্নসদৃশ স্থানগুলোকে লেন্টিসেল বলা হয়।
৫৮। উদ্ভিদের পরিবহন কী?
উত্তর : উদ্ভিদের পরিবহন বলতে প্রধানত ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী পরিবহনকে বোঝায়।
৫৯। রস উত্তোলন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় রস উদ্ভিদের শোষণ অঞ্চল থেকে পাতা ও অন্যান্য অংশে উত্থিত হয় তাকে রস উত্তোলন বলে।
৬০। রসস্ফীতি চাপ কাকে বলে?
উত্তর : অন্ত অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কোষাভ্যন্তরে পানি প্রবেশের ফলে কোষ স্ফীত হয়। কোষের এই স্ফীত অবস্থাকে রসস্ফীতি বলে।
৬১। পত্ররন্ধ্র কাকে বলে?
উত্তর : পাতা, কচি কাণ্ড, ফুলের বৃতি, পাপড়ি ইত্যাদি অঙ্গের বহিঃত্বকে দুটি রক্ষীকোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত রন্ধ্রকে পত্ররন্ধ্র বলে।
৬২। জাইলেম কী?
উত্তর : জাইলেম হলো উদ্ভিদের পরিবহন টিস্যু।
৬৩। ইমবাইবিশন কাকে বলে?
উত্তর : কলয়েডধর্মী বিভিন্ন পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের তরল পদার্থ শোষণ করে তাকে ইমবাইবিশন বলে।
৬৪। কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে?
উত্তর : কিউটিকুলের সাহায্যে যে প্রস্বেদন হয় তাকে কিউটিকুলার প্রস্বেদন বলে।
৬৫।অভিস্রবণ-এর গুরুত্ব কী?
জীবজীবনে অভিস্রবণ একটি অনিবার্য প্রক্রিয়া। এর গুরুত্ব অনেক।
জীবকোষের কোষাবরণ বা প্লাজমা পর্দা অর্ধভেদ্য পর্দা হিসেবে কাজ করে। প্লাজমা পর্দা দিয়ে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া মাটিস্হ পানি মূলরোমের মধ্যে প্রকাশ করে বা বাইরে আসে। কোষস্থিত পানি খনিজ লবণকে দ্রবীভূত করে কোষরসে পরিণত হয়। সুতরাং কোষের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলোকে সচল রাখার জন্য অভিস্রবণের ভুমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ কোষের রসস্ফীতি ঘটে। কাণ্ড ও পাতাকে সতেজ এবং খাড়া রাখতে সাহায্য করে। ফুলের পাপড়ি বন্ধ বা খুলতে পারে। তা ছাড়া প্রাণীর অন্ত্রে খাদ্য শোষিত হতে পারে।
৬৬।প্রস্বেদনের এর গুরুত্ব লিখ।
উদ্ভিদ জীবনে প্রস্বেদন একটি অনিবার্য প্রক্রিয়া। এর গুরুত্ব নিন্মরূপ :
১. প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদ তার দেহ থেকে পানি বের করে অতিরিক্ত পানির চাপ থেকে মুক্ত করে।
২. প্রস্বেদনের ফলে কোষ রসের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। কোষ রসের ঘনত্ব বৃদ্ধি অন্তঃঅভিস্রবণ সহায়ক হয়ে উদ্ভিদকে পানি ও খনিজ লবণ শোষণে সাহায্য করে।
৩. প্রস্বেদন প্রক্রিয়া উদ্ভিদ দেহকে ঠাণ্ডা রাখে এবং পাতার আর্দ্রতা বজায় রাখে।
৪. প্রস্বেদনের ফলে খাদ্য তৈরির জন্য অবিরাম পানি সরবরাহ সম্ভব হয়।
৫. পাতায় প্রস্বেদনের ফলে জাইলেম বাহিকার পানির যে টান সৃষ্টি হয় তা মূলরোম কর্তৃক পানি শোষণে উদ্ভিদের শীর্ষে পরিবহনে সাহায্য করে।
৬. পানিচক্রে বাষ্পীভবনে প্রস্বেদন ভূমিকা রাখে।
৭. প্রস্বেদনের ফলে প্রচুর পানি বাষ্পাকারে বায়ুমণ্ডলে পৌঁছায়।