উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (HSC Biology 2nd Paper)


তৃতীয় অধ্যায় : মানব শারীরতত্ত্ব : পরিপাক ও শোষণ



প্রধান শব্দভিত্তিক সারসংক্ষেপ



♦ পরিপাক প্রক্রিয়া: যে জৈব রাসায়নিক (শারীরবৃত্তীয়) প্রক্রিয়ায় মানুষের পৌষ্টিকনালির ভেতরে জটিল, অদ্রবণীয়, অশোষণীয় খাদ্য উপাদানসমূহ নির্দিষ্ট উৎসেচক এবং প্রাণরসের উপস্থিতিতে আর্দ্র-বিশ্লেষিত হয়ে শোষণযোগ্য এবং দ্রবণীয় সরল খাদ্যসারে পরিণত হয়, তাকে পরিপাক প্রক্রিয়া (digestion) বলে।

♦ BMI: বডিমাস ইনডেক্স (BMI) হলো দেহের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার। যা দিয়ে বোঝা যায় কোনো ব্যক্তি স্থূল কি না।

♦ পরেস্ট্যিালসসি: পরিপাক নালীর অনুদৈর্ঘ্য পেশি ও অনুপ্রস্থ পেশির সংকোন প্রসারণের ফলে খাদ্যের চলনকে পেরিস্টালসিস বলে।

♦ পরিপাক গ্রন্থি : যেসব গ্রন্থির নিঃসরণ খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাকে পরিপাক গ্রন্থি বলে।

♦ টায়ালিন ও মলটেজ: লালাগ্রন্থির সেরাস কোষ থেকে নিঃসৃত টায়ালিন ও মলটেজ এনজাইম পরিপাকে সাহায্য করে।

♦ বৃহত্তম গ্র্রন্থি: যকৃত মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহের বৃহত্তম গ্র্রন্থি।

♦ স্থুলতা: দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে যে স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হয় তাকে স্থুলতা বলে।

♦ অতি স্থূলকায় ব্যক্তি: কোনো ব্যক্তির বডিমাস ইনডেক্স (BMI) kg/m2 এর বেশি হলে তাকে অতি স্থূলকায় ব্যক্তি বলা যেতে পারে। স্থূলতার কারণে দেহে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃৎরোগ, বাত ইত্যাদি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

সূত্র: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান

গাজী সালাহউদ্দিন সিদ্দিকী