উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (HSC Biology 2nd Paper)


চতুর্থ অধ্যায়: মানব শারীরতত্ত্ব: রক্ত ও সঞ্চালন
(Chapter 4. Human Physiology: Blood and Circulation)


প্রধান শব্দভিত্তিক সারসংক্ষেপ


♦ রক্ত: রক্ত হলো মানবদেহের বদ্ধ রক্তনালিসমূহের ভেতর দিয়ে সতত প্রবাহমান লাল বর্ণের, অস্বচ্ছ, ঈষৎ ক্ষারীয় চটচটে লবণাক্ত বিশেষ ধরনের সজীব তরল যোজক কলা ।

♦ করোনারি ধমনী: যে রক্তনালি দ্বারা হৃৎপিণ্ডের প্রাচীরে রক্ত প্রবাহিত হয় তাকে বলে করোনারি ধমনী।

♦ কৃত্রিম পেসমেকার: বয়স ও রোগ মানুষের হৃৎপিণ্ডের পেসমেকারকে দুর্বল করে দেয়। ফলে হৃৎস্পন্দনের গতি ধীর হয়ে যায়, মাঝে মাঝে থেমেও যেতে পারে। তখন কৃত্রিম পেসমেকার লাগিয়ে এ হৃৎস্পন্দনকে সচল রাখা হয়।

♦ এনজিওপ্লাস্টি: করোনারি ধমনীর অন্তর্গাত্রে চর্বি জমে এর নালিকা সরু হয়ে গেলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এ সমস্যা দূর করার জন্য করোনারি ধমনীতে এনজিওপ্লাস্টি করা হয়।

♦ করোনারি বাইপাস: করোনারি ধমনীতে চর্বি জমে গেলে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে। তখন পা থেকে রক্ত নালি কেটে হৃৎপিণ্ডের করোনারি ধমনীতে লাগানো হয় একে করোনারি বাইপাস বলে।

♦ কলামনি কর্নি: ভেন্ট্রিকলের অন্তপ্রাচীরে কতগুলো মাংসল অভিক্ষেপ বিদ্যমান, এদেরকে কলামনি কর্নি (Columnae cornae) বলে।

♦ হেপারিন: হেপারিন রক্তনালির ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে রক্তপ্রবাহ অব্যাহত রাখে।

♦ অ্যানজাইনা: হৃৎপিণ্ডের পেশি যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন না পেলে বুকে ব্যথ্যা বা অস্বস্থি অনুভব হয় একে অ্যানজাইনা বলে। অ্যানজাইন কোন রোগ নয় এটি হৃদরোগের একটি প্রাথমিক লক্ষণ মাত্র।

♦ MI (Myocardial Infarction): হৃৎপিণ্ডের কোষে খাদ্য ও অক্সিজেন পৌঁছায় করোনারি ধমনীর মাধ্যমে। এ করোনারি ধমনী চর্বি জমে বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেন ও খাদ্য পৌছাতে পারে না। ফলে হৃৎপিণ্ড বন্ধ হয়ে যায়, এটাকেই আমরা হার্ট অ্যাটাক বলে থাকি। এটিকে সংক্ষেপে MI (Myocardial Infarction) বলে।

সূত্র: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান

গাজী সালাহউদ্দিন সিদ্দিকী