প্রথম অধ্যায়: কোষ ও এর গঠন (Chapter 1. Cell and its structure:)
♦ কোষ : কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কাজের একক, যা স্বনির্ভর ও আত্মপ্রজননশীল, বৈষম্যভেদ্য পর্দা দিয়ে পরিবেষ্টিত অবস্থায় নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটোপ্লাজম নিয়ে গঠিত এবং পূর্বতন কোষ থেকে সৃষ্ট।
♦ আদি কোষ: আদি প্রকৃতির অর্থাৎ, সুগঠিত নয় এমন নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষই হলো আদি কোষ।
♦ কোষের ট্রাফিক পুলিশ: গলজি বস্তুকে কোষের ট্রাফিক পুলিশ বলা হয়।
♦ মাইসেলি: কোষ প্রাচীরে সেলুলোজ অণুগুলো সমান্তরালে পাশাপাশি বিন্যস্ত হয়ে যে সূত্র গঠিত হয় তাই মাইসেলি।
♦ প্লাসমোডেসমাটা: পাশাপাশি অবস্থিত কোষগুলো কোষপ্রাচীরের সূক্ষ্ম ছিদ্রের ভেতর দিয়ে প্রোটোপ্লাজমের যে সুতার মতো অংশ দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে, তাই প্লাসমোডেসমাটা।
♦ পিট বা কূপ: মধ্যপর্দার ওপর মাঝে মাঝে প্রাথমিক প্রাচীর সৃষ্টি না হলে যে সরু, নলাকার গর্তের সৃষ্টি হয় তাই হলো পিট বা কূপ।
♦ একক পর্দা: প্লাজমামেমব্রেনসহ সকল কোষীয় অঙ্গাণুর আবরণী পর্দাই হলো একক পর্দা।
♦ হায়ালোপ্লাজমা: সাইটোপ্লাজমের অঙ্গাণুসমূহ ছাড়া সেখানকার অর্ধতরল, অর্ধস্বচ্ছ, দানাদার ও সমধর্মী কলয়ডীয় পদার্থই হলো সাইটোপ্লাজমিক মাতৃকা বা হায়ালোপ্লাজম।
♦ থাইলাকয়েড: ক্লোরোপ্লাস্টে প্রাপ্ত গ্রানার এক একটি একক, যা দেখতে চ্যাপ্টা থলে আকৃতির তাই হলো থাইলাকয়েড।
♦ স্ট্রোমা ল্যামেলাম: পাশাপাশি অবস্থিত দু’টি গ্রানামের মধ্যে সংযোগ সাধনকারী প্রতিটি সূত্রাকার নলাকার অঙ্গই হলো স্ট্রোমা ল্যামেলাম।
♦ সেন্ট্রোস্ফিয়ার: সেন্ট্রোসোমের গাঢ় মাতৃকাই হলো সেন্ট্রোস্ফিয়ার।
♦ ক্রোমাটিড: মেটাফেজ পর্যায়ে ক্রোমোসোম অনুদৈর্ঘ্য যে দুটি খণ্ডে বিভক্ত থাকে তার প্রতিটি খণ্ডই হলো ক্রোমাটিড ।
♦ ট্রান্সক্রিপশন: DNA থেকে mRNA সৃষ্টির প্রক্রিয়াই হলো ট্রান্সক্রিপশন।
♦ স্যাটেলাইট: ক্রোমোসোমের গৌণকুঞ্চন থেকে প্রান্ত পর্যন্ত অংশই হচ্ছে স্যাটেলাইট।
♦ সিসট্রন: DNA অণুর যে অংশ বিশেষ একটি পলিপেপটাইড চেইন-এর সকল তথ্য সংরক্ষণ করে তাই হলো সিসট্রন।
♦ নিউক্লিক অ্যাসিড: অসংখ্য নিউক্লিওটাইড পলিমার সৃষ্টির মাধ্যমে যে অ্যাসিড তৈরি হয় তাই নিউক্লিক অ্যাসিড।
♦ নিউক্লিওটাইড: এক অণু নিউক্লিওসাইডের সাথে এক অণু ফসফেট যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠিত হয় তাকে নিউক্লিওটাইড বলে।
♦ জিন: জিন হলো ক্রোমোসোমের লোকাসে অবস্থিত DNA অণুর সুনির্দিষ্ট অংশ, যা জীবের একটি নির্দিষ্ট কার্যকরী সংকেত আবদ্ধ করে রাখে এবং প্রোটিন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কোষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়।